আজ রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হঠাৎ লকডাউন প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রোববার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সদর উপজেলার তিনটি এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো। সে সময়ে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছিলেন, লকডাউনের মেয়াদকাল হবে ১৫ থেকে ২১ দিন। তবে তিন দিনের মাথায় গতকাল কোন ঘোষণা ছাড়াই লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, এ লকডাউন ছিলো পরীক্ষামূলক।
লকডাউন ঘোষণার সময়ে রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছিলেন, অধিক ঝুকিপুর্ণ রেড জোন হিসেবে রুপায়ন সিটি, আমলা পাড়া এবং জামতলা এমপি গলি চিহ্নিত করা হয়েছে। এ তিনটি এলাকা থেকে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যক্তি বাইরে আসতে পারবেন না বা বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি ওই এলাকায় যেতে পারবেন না। এলাকায় কোন গণপরিবহন থামবে না। কাঁচা বাজার বন্ধ করে ভ্রাম্যমান বাজার এর ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে শুধু কর্মচারীবৃন্দ অন্যান্যদের যাতায়াত আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। সবার জন্য সকল স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক। লকডাউনের মেয়াদকাল ১৫ থেকে ২১ দিন হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদি ইমরান সিদ্দিকী বলেছিলেন, লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ প্রশাসন ১০০% কাজ করবে।
এদিকে গতকাল তিনদিনের মাথায় লকডাউ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, আগামীতে আরও কঠোর পদক্ষেপ আসছে। আর এ তিন এলাকা লকডাউন ছিলো পরীক্ষামূলক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেড জোন এবং লকডাউন দুটোই ছিল পরীক্ষামূলক। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসক এ লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথেই প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তিন এলাকায় গিয়ে বাঁশ দিয়ে ব্যরিকেড দেয়া হয়। ওই সময়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমলাপাড়া এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সচিব। এরপরের দিন অনেকটা ঢিলেঢালা লকডাউন দেখা যায়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কিছুটা কড়াকাড়ি করে। তবে বিকেলে আবার পূর্বের অবস্থা ফিরে আসে। সচেতন মহল বলছেন, ওই তিন এলাকাবাসী লকডাউন মেনে নেয়নি। তাদের ধারণা এ কারনেই হঠাৎ করে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গতকাল জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, এটি একটি পাইলট প্রকল্প ছিল। এই তিনটি এলাকা গত দুইদিন লকডাউন করে মানুষের সুবিধা অসুবিধা এবং করোনা প্রতিরোধে কি কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য ঝুকিপূর্ন এলাকা সেসব ত্রুটি শুধরে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে রূপগঞ্জের একটি এলাকা লকডাউন করার প্রস্তুতি চলছে।